Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বড়ঘোপ সমূদ্র সৈকত
স্থান

কুতুবদিয়া উপজেলার পশ্চিমে

কিভাবে যাওয়া যায়

স্থল পথে কক্সবাজার জেলা হতে চকরিয়া ও পেকুয়া হয়ে মগনামা-বড়ঘোপ ফেরী ঘাট ডেনিস যোগে কুতুবদিয়া চ্যানেলে পার হয়ে বড়ঘোপ ঘাট হতে রিক্সা যোগে বড়ঘোপ বাজার পশ্চিমে সমুদ্র সৈকত যাওয়া যায়।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

কুতুবদিয়ায় ভ্রমণ
  মুস্তাফিজ মামুন,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-11-15 16:21:20.0 BdST Updated: 2014-11-15 18:33:59.0 BdST
•     
কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Previous Next
কক্সবাজার জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া। প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপে আছে নানান বৈচিত্র্য।
নির্জন বেলাভূমি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র, লবণ চাষ, বাতিঘর, কুতুব আউলিয়ার মাজারসহ আছে দেখার মতো অনেক কিছু।
কুতুবদিয়া চ্যানেল
কুতুবদিয়ার চ্যানেল বেশ বড়। সারা বছর বেশ উত্তাল থাকলেও শীতে মোটামুটি শান্তই থাকে। মাগনামা ঘাট থেকে এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েই পৌঁছতে হবে দ্বীপে।
সমুদ্র সৈকত
কুতুবদিয়ার সমুদ্র সৈকত উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। বেশিরভাগ এলাকাই বেশ নির্জন। পর্যটকের আনাগোনা নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে শুধু আছে জেলেদের কর্মব্যস্ততা। কোথাও কোথাও সৈকতের পাশে আছে ঝাউগাছের সারি। কুতুবদিয়া সৈকতের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট হল প্রচুর গাংচিল ঘুরে বেড়ায় সেখানে। নির্জনতার সুযোগে সৈকতের কোথাও কোথাও লাল কাঁকড়াদের দল ঘুরে বেড়ায় নির্ভয়ে। সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জন্য কুতুবদিয়ার সৈকত আদর্শ জায়গা।
 
কুতুবদিয়ার আলী অকবরের ডেল এলাকায় দেশের সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র কুতুবদিয়ায় অবস্থিত। প্রায় এক হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে সৈকতের দক্ষিণ প্রান্তে, আলী আকবরের ডেল এলাকায়। দেখতে ভুল করবেন না দেশের বড় এই বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
বাতিঘর
সমুদ্রপথে চলাচলকারী জাহাজের নাবিকদের পথ দেখাতে বহুকাল আগে কুতুবদিয়ায় তৈরি করা হয়েছিল একটি বাতিঘর। পুরানো সেই বাতিঘর সমুদ্রে বিলীন হয়েছে বহু আগে। তবে এখনও ভাটার সময় সেই বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ কখনও কখনও জেগে উঠতে দেখা যায়। পুরানো বাতিঘরের এলাকায় পরে যে বাতিঘর তৈরি করা হয়েছিল সেটিই এখন নাবিকদের পথ দেখায়। বড়ঘোপ বাজার থেকে সমুদ্র সৈকত ধরে উত্তর দিকে কিছু দূর গেলে বর্তমান বাতিঘরের অবস্থান।
কুতুব আউলিয়ার দরবার
দ্বীপের ধুরং এলাকায় কুতুব আউলিয়ার দরবার শরীফ। এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী। এখানেই জন্মগ্রহণ করেন ১৯১১ সালে। ২০০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি মারা যান। প্রতিবছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে (৭ ফাল্গুন) হাজারও ভক্তের সমাগম ঘটে এখানে। কথিত আছে কুতুবদিয়ার নামকরণ হয়েছে কুতুব আউলিয়ার পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই। বর্তমানে কুতুব শরীফ দরবারের দায়িত্বে আছেন তাঁরই পুত্র শাহজাদা শেখ ফরিদ।
 
লবণ চাষ
শীতে কুতুবদিয়ার জমিতে চাষ হয় লবণ। এ সময়ে সেখানে গেলে দেখা যাবে মাঠে মাঠে কৃষকদের লবণ চাষের ব্যস্ততা। দ্বীপের সর্বত্রই কম-বেশি লবণের চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি লবণের মাঠ তাবলের চর, কৈয়ার বিল, আলী আকবরের ডেল-এ রয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদনের নানান কৌশল দেখা যাবে এখানে।
কীভাবে যাবেন
কুতুদিয়া যেতে হবে কক্সবাজারের বাসে। ঢাকা থেকে সরসরি কক্সবাজার যায় সোহাগ পরিবহন, টি আর ট্রাভেলস, গ্রীন লাইন পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সেন্টমার্টিন পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাস।
ভাড়া ১ হাজার ৭শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। এছাড়া এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী, ইউনিক, ঈগল ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাসে ভাড়া সাড়ে ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা।
এসব বাসে চড়ে নামতে হবে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের পথে যাত্রা বিরতি স্থল ইনানী রিসোর্টের এক কিলোমিটার সামনে বড়ইতলি মোড়ে। সেখান থেকে সিএনজি চালিত বেবিটেক্সিতে যেতে হবে মাগনামা ঘাট। জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ টাকা। রিজার্ভ নিলে ২শ’ টাকা। মাগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল পার হতে হবে ইঞ্জিন নৌকা অথবা স্পিড বোটে।
ইঞ্জিন নৌকায় সময় লাগে ২০ থেকে ২৫ মিনিট, ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর স্পিডবোটে লাগে ১০ মিনিট, ভাড়া ৬০ টাকা। চ্যানেল পার হলেই কুতুবদিয়া।
বড়ঘোপ বাজার রিকশায় যেতে লাগবে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ও কক্সবাজার বাসস্টান্ড থেকে সরাসরি এস আলমের বাস যায় মাগনামা ঘাটে। ভাড়া চট্টগ্রাম থেকে ১৬০ টাকা, কক্সবাজার থেকে ৯০ টাকা। 
কোথায় থাকবেন
কুতুবদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য মানসম্মত একমাত্র আবাসন ব্যবস্থা হল হোটেল সমুদ্র বিলাস। সমুদ্র লাগোয়া এই হোটেলে বসে উপভোগ করা যায় সমুদ্রের সৌন্দর্য। হোটেলের দুই জনের নন এসি কক্ষ ভাড়া ৮শ’ টাকা তিনজনের ১ হাজার এবং চার জনের কক্ষ ভাড়া ১ হাজার ২শ’ টাকা। যোগাযোগ: হোটেল সমুদ্র বিলাস, বড়ঘোপ বাজার, কুতুবদিয়া। মোবাইল ০১৮১৯৬৪৭৩৫৫, ০১৭২২০৮৬৮৪৭।
প্রয়োজনীয় তথ্য
কুতুবদিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে এখানকার বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে।
সৈকতে জোয়ার ভাটা চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিজ দায়িত্বে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে সমুদ্র স্নানে নামতে। ভাটার সময় সমুদ্রে নামা বিপজ্জনক।
 
কুতুবদিয়ার ছবির গ্যালারি।
কুতুবদিয়া বাতিঘর
•  English
________________________________________
কুতুবদিয়া বাতিঘর প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রাম ছিল একটি সমুদ্রবন্দর। খ্রিস্টীয় নয় শতক থেকে আরব বণিকগণ চট্টগ্রামের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন করে। বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর (চৌদ্দ শতক) থেকে চট্টগ্রাম বন্দর একটি ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়। সেকালে সামুদ্রিক জাহাজে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ছিল না, অভিজ্ঞ নাবিকরা প্রাচীন প্রচলিত পদ্ধতিতে সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে বন্দরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটলেও সমুদ্রে জাহাজ পরিচালনায় কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার ব্যবস্থা ছিল না। ১৮২২ সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস উপকূলভাগ বিধ্বস্ত করে দেয়। প্লাবনের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সমুদ্রবক্ষে পলি জমে সৃষ্টি হয় অনেক চর। বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন নতুন চর জেগে ওঠার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে দেশী-বিদেশি জাহাজ চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের স্বার্থে ব্রিটিশ সরকার বাতিঘর স্থাপনের জন্য জরিপ কাজ পরিচালনা করে এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে তিনদিকে বঙ্গোপসাগর পরিবেষ্টিত কুতুবদিয়ায় একটি সুউচ্চ বাতিঘর স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। বঙ্গোপসাগরে চলাচলরত জাহাজকে সংকেত দেখানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও সামুদ্রিক এলাকায় বিভিন্ন সময় সেন্ট মার্টিনস, কক্সবাজার, নরম্যান্স পয়েন্ট, পতেঙ্গা ও কুতুবদিয়ায় বাতিঘর স্থাপন করা হয়। এসব বাতিঘরের বিচ্ছুরিত আলো ২৫-৩৫ কি.মি গভীর সমুদ্র থেকে দেখা যায়। সবচেয়ে প্রাচীন বাতিঘর স্থাপিত হয় কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ায়। কুতুবদিয়া বাতিঘরের নির্মাণকাল ১৮৪৬ সাল এবং ঘূর্ণায়মান বাতি স্থাপিত হয় ১৮৯২ সালে।
পাথরের ভিতের উপর নির্মিত কুতুবদিয়া বাতিঘরটির উচ্চতা ছিল প্রায় ৪০ মিটার। এর ছয়টি কামরায় পাটাতন ও সিঁড়ি ছিল কাঠের। সর্বোচ্চ কামরায় আট ফিতার ল্যাম্প বসানো হয়েছিল। ল্যাম্পের জ্বালানি ছিল নারিকেল তেল। বাতিঘরের নিচতলা ছিল মাটির নিচে এবং এর দেয়াল ছিল খুবই পুরু। এ বাতিঘর নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল ৪,৪২৮ টাকা। আট তলা এ বাতিঘরের প্রতি তলার উচ্চতা ছিল প্রায় ৫ মিটার। প্রতি কক্ষে ছিল কাঁচের জানালা। সর্বোচ্চ কক্ষে জ্বালানো হত বাতি। একটি কাঠের ফ্রেমে রাখা বাতিটি প্রতিদিন সূর্যাস্তের আগে জ্বালানো হত। ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন হেয়ারের তত্ত্বাবধানে ও ইঞ্জিনিয়ার জে এইচ টুগুডের নির্দেশনায় কুতুবদিয়ার বাতিঘরটি নির্মিত হয়। দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নের আলী ফকির ভেইলে পশ্চিম সমুদ্র উপকূলে নির্মিত এ বাতিঘরটি ১৮৯৭ সালের প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সমগ্র লাইট হাউজ নড়বড়ে হয়ে যায়। লাইট হাউজের রক্ষকের বাসভবন বিধ্বস্ত হয়। ভবনের কাঠের মেঝে বাতাসের তীব্রতায় প্রায় ৭০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। ভবনের টিনের তৈরি ছাদ আশপাশের মাঠে গিয়ে আছড়ে পড়ে। স্তূপাকৃত বড় বড় পাথর পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। ১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে স্থায়ী ভাঙ্গনে বিলীন হবার পূর্ব পর্যন্ত এ বাতিঘর বিরামহীন আলো দেখিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের প্রায় ৩৫ কি.মি দূর থেকে দিকনির্দেশনা দিত।
১৯৬৫ সালে বেড়িবাঁধের ভেতর তৈরি হয়েছে নতুন বাতিঘর। প্রাচীন বাতিঘরটি সাগরের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ক্রমশ স্থলভাগ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং ঢেউয়ের আঘাতে, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। বর্তমানে লোহার তৈরি সুউচ্চ বাতিঘর প্রাচীন বাতিঘরের কথাই শুধু মনে করিয়ে দেয়। [আহমদ মমতাজ]
________________________________________
•    এ পাতায় শেষ পরিবর্তন হয়েছিল ১৬:৩২টার সময়, ১৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে।
•    এ পাতাটি ২,৩৬৭ বার দেখা হয়েছে।
•    গোপনীয়তার নীতি
•    বাংলাপিডিয়া বৃত্তান্ত
•    দাবিত্যাগ
•    প্রবেশ
Search Results
কুতুবদিয়া বাতিঘর - বাংলাপিডিয়া
bn.banglapedia.org/index.php?title=কুতুবদিয়া_বাতিঘর
Translate this page
Aug 18, 2014 - কুতুবদিয়া বাতিঘর প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রাম ছিল একটি সমুদ্রবন্দর। খ্রিস্টীয় নয় শতক থেকে আরব বণিকগণ চট্টগ্রামের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন করে। বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর (চৌদ্দ শতক) থেকে চট্টগ্রাম বন্দর একটি ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়। সেকালে সামুদ্রিক জাহাজে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ছিল না, অভিজ্ঞ নাবিকরা প্রাচীন প্রচলিত পদ্ধতিতে সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে বন্দরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটলেও সমুদ্রে জাহাজ পরিচালনায় কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার ব্যবস্থা ছিল না। ১৮২২ সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস উপকূলভাগ বিধ্বস্ত করে দেয়। প্লাবনের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সমুদ্রবক্ষে পলি জমে সৃষ্টি ...
কুতুবদিয়া বাতিঘর | কক্সবাজার জেলা | কক্সবাজার জেলা
www.coxsbazar.gov.bd/site/tourist.../কুতুবদিয়া-বাতিঘর
Translate this page
কুতুবদিয়া বাতিঘর. কুতুবদিয়া বাতিঘরঃ. 'কুতুবদিয়া দ্বীপ' বিখ্যাত বাতিঘরের কারণে এ প্রবাদটি ছোটবেলায় বিভিন্ন পাঠ্য পুস্তকে লেখা ছিল। ইদানিং তেমনটি আর লেখা হয় না। কারণ বাতিঘরটি আর কুতুবদিয়াতে নেই। আছে বাতিঘরটির ভগ্নস্তূপ এলাকা নিয়ে গঠিত বাতিঘরপাড়া। কুতুবদিয়া কক্সবাজার জেলায় একটি দ্বীপ উপজেলা। চান্স এন্ড ব্রাদার্স কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃক মনোনীত স্থপতি নেয়ার বার্মিংহাম এর তত্ত্বাবধানে ১৮৪৬ সালের দিকে কুতুবদিয়ার দক্ষিণধুরং ইউনিয়নের আলী ফকির ডেইল নামক স্থানে আটতলা তথা আটকক্ষ বিশিষ্ট বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। ১২০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট গোলাকৃতি আলোক স্তম্ভের প্রতিটি কক্ষে মূল্যবান কাঁচ খচিত জানালা ছিল। কক্ষের চারদিকে রেলিং ছিল।
Images for কুতুবদিয়া বাতিঘর

ঘর তো ঘরই তা আবার বাতিঘর হয় কেমন করে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চলুন ঘুরে আসুন কুতুবদিয়া!
 
প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রাম ছিল একটি সমুদ্রবন্দর। খ্রিষ্টীয় নয় শতক থেকে আরব বণিকগন চট্টগ্রামের সঙ্গে বানিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন করে। বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর (চৌদ্দ শতক) থেকে চট্টগ্রাম বন্দর একটি ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়। সেকালে সামুদ্রিক জাহাজে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ছিল না, অভিজ্ঞ নাবিকরা প্রাচীন প্রচলিত পদ্ধতিতে সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে বন্দরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটলেও সমুদ্রে জাহাজ পরিচালনায় কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার ব্যবস্থা ছিল না।
 
১৮২২ সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস উপকূলভাগ বিধ্বস্ত করে দেয়। প্লাবনের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সমুদ্রবক্ষে পলি জমে সৃষ্টি হয় অনেক চর। বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন নতুন চর জেগে ওঠার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে দেশী-বিদেশি জাহাজ চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের স্বার্থে ব্রিটিশ সরকার বাতিঘর স্থাপনের জন্য জরিপ কাজ পরিচালনা করে এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে তিনদিকে বঙ্গোপসাগ

কুতুবদিয়ায় ভ্রমণ

  মুস্তাফিজ মামুন,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2014-11-15 16:21:20.0 BdST Updated: 2014-11-15 18:33:59.0 BdST

কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Previous Next

কক্সবাজার জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া। প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপে আছে নানান বৈচিত্র্য।

নির্জন বেলাভূমি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র, লবণ চাষ, বাতিঘর, কুতুব আউলিয়ার মাজারসহ আছে দেখার মতো অনেক কিছু।

কুতুবদিয়া চ্যানেল

কুতুবদিয়ার চ্যানেল বেশ বড়। সারা বছর বেশ উত্তাল থাকলেও শীতে মোটামুটি শান্তই থাকে। মাগনামা ঘাট থেকে এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েই পৌঁছতে হবে দ্বীপে।

সমুদ্র সৈকত

কুতুবদিয়ার সমুদ্র সৈকত উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। বেশিরভাগ এলাকাই বেশ নির্জন। পর্যটকের আনাগোনা নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে শুধু আছে জেলেদের কর্মব্যস্ততা। কোথাও কোথাও সৈকতের পাশে আছে ঝাউগাছের সারি। কুতুবদিয়া সৈকতের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট হল প্রচুর গাংচিল ঘুরে বেড়ায় সেখানে। নির্জনতার সুযোগে সৈকতের কোথাও কোথাও লাল কাঁকড়াদের দল ঘুরে বেড়ায় নির্ভয়ে। সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জন্য কুতুবদিয়ার সৈকত আদর্শ জায়গা।

কুতুবদিয়ার আলী অকবরের ডেল এলাকায় দেশের সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: মুস্তাফিজ মামুন/ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র কুতুবদিয়ায় অবস্থিত। প্রায় এক হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে সৈকতের দক্ষিণ প্রান্তে, আলী আকবরের ডেল এলাকায়। দেখতে ভুল করবেন না দেশের বড় এই বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

বাতিঘর

সমুদ্রপথে চলাচলকারী জাহাজের নাবিকদের পথ দেখাতে বহুকাল আগে কুতুবদিয়ায় তৈরি করা হয়েছিল একটি বাতিঘর। পুরানো সেই বাতিঘর সমুদ্রে বিলীন হয়েছে বহু আগে। তবে এখনও ভাটার সময় সেই বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ কখনও কখনও জেগে উঠতে দেখা যায়। পুরানো বাতিঘরের এলাকায় পরে যে বাতিঘর তৈরি করা হয়েছিল সেটিই এখন নাবিকদের পথ দেখায়। বড়ঘোপ বাজার থেকে সমুদ্র সৈকত ধরে উত্তর দিকে কিছু দূর গেলে বর্তমান বাতিঘরের অবস্থান।

কুতুব আউলিয়ার দরবার

দ্বীপের ধুরং এলাকায় কুতুব আউলিয়ার দরবার শরীফ। এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী। এখানেই জন্মগ্রহণ করেন ১৯১১ সালে। ২০০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি মারা যান। প্রতিবছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে (৭ ফাল্গুন) হাজারও ভক্তের সমাগম ঘটে এখানে। কথিত আছে কুতুবদিয়ার নামকরণ হয়েছে কুতুব আউলিয়ার পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই। বর্তমানে কুতুব শরীফ দরবারের দায়িত্বে আছেন তাঁরই পুত্র শাহজাদা শেখ ফরিদ।

লবণ চাষ

শীতে কুতুবদিয়ার জমিতে চাষ হয় লবণ। এ সময়ে সেখানে গেলে দেখা যাবে মাঠে মাঠে কৃষকদের লবণ চাষের ব্যস্ততা। দ্বীপের সর্বত্রই কম-বেশি লবণের চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি লবণের মাঠ তাবলের চর, কৈয়ার বিল, আলী আকবরের ডেল-এ রয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদনের নানান কৌশল দেখা যাবে এখানে।

কীভাবে যাবেন

কুতুদিয়া যেতে হবে কক্সবাজারের বাসে। ঢাকা থেকে সরসরি কক্সবাজার যায় সোহাগ পরিবহন, টি আর ট্রাভেলস, গ্রীন লাইন পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সেন্টমার্টিন পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাস।

ভাড়া ১ হাজার ৭শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। এছাড়া এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী, ইউনিক, ঈগল ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাসে ভাড়া সাড়ে ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা।

এসব বাসে চড়ে নামতে হবে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের পথে যাত্রা বিরতি স্থল ইনানী রিসোর্টের এক কিলোমিটার সামনে বড়ইতলি মোড়ে। সেখান থেকে সিএনজি চালিত বেবিটেক্সিতে যেতে হবে মাগনামা ঘাট। জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ টাকা। রিজার্ভ নিলে ২শ’ টাকা। মাগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল পার হতে হবে ইঞ্জিন নৌকা অথবা স্পিড বোটে।

ইঞ্জিন নৌকায় সময় লাগে ২০ থেকে ২৫ মিনিট, ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর স্পিডবোটে লাগে ১০ মিনিট, ভাড়া ৬০ টাকা। চ্যানেল পার হলেই কুতুবদিয়া।

বড়ঘোপ বাজার রিকশায় যেতে লাগবে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ও কক্সবাজার বাসস্টান্ড থেকে সরাসরি এস আলমের বাস যায় মাগনামা ঘাটে। ভাড়া চট্টগ্রাম থেকে ১৬০ টাকা, কক্সবাজার থেকে ৯০ টাকা।  

কোথায় থাকবেন

কুতুবদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য মানসম্মত একমাত্র আবাসন ব্যবস্থা হল হোটেল সমুদ্র বিলাস। সমুদ্র লাগোয়া এই হোটেলে বসে উপভোগ করা যায় সমুদ্রের সৌন্দর্য। হোটেলের দুই জনের নন এসি কক্ষ ভাড়া ৮শ’ টাকা তিনজনের ১ হাজার এবং চার জনের কক্ষ ভাড়া ১ হাজার ২শ’ টাকা। যোগাযোগ: হোটেল সমুদ্র বিলাস, বড়ঘোপ বাজার, কুতুবদিয়া। মোবাইল ০১৮১৯৬৪৭৩৫৫, ০১৭২২০৮৬৮৪৭।

প্রয়োজনীয় তথ্য

কুতুবদিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে এখানকার বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে।

সৈকতে জোয়ার ভাটা চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিজ দায়িত্বে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে সমুদ্র স্নানে নামতে। ভাটার সময় সমুদ্রে নামা বিপজ্জনক।

 

কুতুবদিয়ার ছবির গ্যালারি।

কুতুবদিয়া বাতিঘর

·  English


কুতুবদিয়া বাতিঘর প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রাম ছিল একটি সমুদ্রবন্দর। খ্রিস্টীয় নয় শতক থেকে আরব বণিকগণ চট্টগ্রামের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন করে। বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর (চৌদ্দ শতক) থেকে চট্টগ্রাম বন্দর একটি ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়। সেকালে সামুদ্রিক জাহাজে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ছিল না, অভিজ্ঞ নাবিকরা প্রাচীন প্রচলিত পদ্ধতিতে সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে বন্দরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটলেও সমুদ্রে জাহাজ পরিচালনায় কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার ব্যবস্থা ছিল না। ১৮২২ সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস উপকূলভাগ বিধ্বস্ত করে দেয়। প্লাবনের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সমুদ্রবক্ষে পলি জমে সৃষ্টি হয় অনেক চর। বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন নতুন চর জেগে ওঠার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে দেশী-বিদেশি জাহাজ চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের স্বার্থে ব্রিটিশ সরকার বাতিঘর স্থাপনের জন্য জরিপ কাজ পরিচালনা করে এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে তিনদিকে বঙ্গোপসাগর পরিবেষ্টিত কুতুবদিয়ায় একটি সুউচ্চ বাতিঘর স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। বঙ্গোপসাগরে চলাচলরত জাহাজকে সংকেত দেখানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও সামুদ্রিক এলাকায় বিভিন্ন সময় সেন্ট মার্টিনস, কক্সবাজার, নরম্যান্স পয়েন্ট, পতেঙ্গা ও কুতুবদিয়ায় বাতিঘর স্থাপন করা হয়। এসব বাতিঘরের বিচ্ছুরিত আলো ২৫-৩৫ কি.মি গভীর সমুদ্র থেকে দেখা যায়। সবচেয়ে প্রাচীন বাতিঘর স্থাপিত হয় কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ায়। কুতুবদিয়া বাতিঘরের নির্মাণকাল ১৮৪৬ সাল এবং ঘূর্ণায়মান বাতি স্থাপিত হয় ১৮৯২ সালে।

পাথরের ভিতের উপর নির্মিত কুতুবদিয়া বাতিঘরটির উচ্চতা ছিল প্রায় ৪০ মিটার। এর ছয়টি কামরায় পাটাতন ও সিঁড়ি ছিল কাঠের। সর্বোচ্চ কামরায় আট ফিতার ল্যাম্প বসানো হয়েছিল। ল্যাম্পের জ্বালানি ছিল নারিকেল তেল। বাতিঘরের নিচতলা ছিল মাটির নিচে এবং এর দেয়াল ছিল খুবই পুরু। এ বাতিঘর নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল ৪,৪২৮ টাকা। আট তলা এ বাতিঘরের প্রতি তলার উচ্চতা ছিল প্রায় ৫ মিটার। প্রতি কক্ষে ছিল কাঁচের জানালা। সর্বোচ্চ কক্ষে জ্বালানো হত বাতি। একটি কাঠের ফ্রেমে রাখা বাতিটি প্রতিদিন সূর্যাস্তের আগে জ্বালানো হত। ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন হেয়ারের তত্ত্বাবধানে ও ইঞ্জিনিয়ার জে এইচ টুগুডের নির্দেশনায় কুতুবদিয়ার বাতিঘরটি নির্মিত হয়। দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নের আলী ফকির ভেইলে পশ্চিম সমুদ্র উপকূলে নির্মিত এ বাতিঘরটি ১৮৯৭ সালের প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সমগ্র লাইট হাউজ নড়বড়ে হয়ে যায়। লাইট হাউজের রক্ষকের বাসভবন বিধ্বস্ত হয়। ভবনের কাঠের মেঝে বাতাসের তীব্রতায় প্রায় ৭০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে। ভবনের টিনের তৈরি ছাদ আশপাশের মাঠে গিয়ে আছড়ে পড়ে। স্তূপাকৃত বড় বড় পাথর পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। ১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে স্থায়ী ভাঙ্গনে বিলীন হবার পূর্ব পর্যন্ত এ বাতিঘর বিরামহীন আলো দেখিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের প্রায় ৩৫ কি.মি দূর থেকে দিকনির্দেশনা দিত।

১৯৬৫ সালে বেড়িবাঁধের ভেতর তৈরি হয়েছে নতুন বাতিঘর। প্রাচীন বাতিঘরটি সাগরের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ক্রমশ স্থলভাগ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং ঢেউয়ের আঘাতে, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে। বর্তমানে লোহার তৈরি সুউচ্চ বাতিঘর প্রাচীন বাতিঘরের কথাই শুধু মনে করিয়ে দেয়। [আহমদ মমতাজ]


  • এ পাতায় শেষ পরিবর্তন হয়েছিল ১৬:৩২টার সময়, ১৮ আগস্ট ২০১৪ তারিখে।
  • এ পাতাটি ২,৩৬৭ বার দেখা হয়েছে।

Search Results

কুতুবদিয়া বাতিঘর - বাংলাপিডিয়া

bn.banglapedia.org/index.php?title=কুতুবদিয়া_বাতিঘর

Translate this page

Aug 18, 2014 - কুতুবদিয়া বাতিঘর প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রাম ছিল একটি সমুদ্রবন্দর। খ্রিস্টীয় নয় শতক থেকে আরব বণিকগণ চট্টগ্রামের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন করে। বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর (চৌদ্দ শতক) থেকে চট্টগ্রাম বন্দর একটি ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়। সেকালে সামুদ্রিক জাহাজে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ছিল না, অভিজ্ঞ নাবিকরা প্রাচীন প্রচলিত পদ্ধতিতে সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে বন্দরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটলেও সমুদ্রে জাহাজ পরিচালনায় কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার ব্যবস্থা ছিল না। ১৮২২ সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস উপকূলভাগ বিধ্বস্ত করে দেয়। প্লাবনের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সমুদ্রবক্ষে পলি জমে সৃষ্টি ...

কুতুবদিয়া বাতিঘর | কক্সবাজার জেলা | কক্সবাজার জেলা

www.coxsbazar.gov.bd/site/tourist.../কুতুবদিয়া-বাতিঘর

Translate this page

কুতুবদিয়া বাতিঘর. কুতুবদিয়া বাতিঘরঃ. 'কুতুবদিয়া দ্বীপ' বিখ্যাত বাতিঘরের কারণে এ প্রবাদটি ছোটবেলায় বিভিন্ন পাঠ্য পুস্তকে লেখা ছিল। ইদানিং তেমনটি আর লেখা হয় না। কারণ বাতিঘরটি আর কুতুবদিয়াতে নেই। আছে বাতিঘরটির ভগ্নস্তূপ এলাকা নিয়ে গঠিত বাতিঘরপাড়া। কুতুবদিয়া কক্সবাজার জেলায় একটি দ্বীপ উপজেলা। চান্স এন্ড ব্রাদার্স কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃক মনোনীত স্থপতি নেয়ার বার্মিংহাম এর তত্ত্বাবধানে ১৮৪৬ সালের দিকে কুতুবদিয়ার দক্ষিণধুরং ইউনিয়নের আলী ফকির ডেইল নামক স্থানে আটতলা তথা আটকক্ষ বিশিষ্ট বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। ১২০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট গোলাকৃতি আলোক স্তম্ভের প্রতিটি কক্ষে মূল্যবান কাঁচ খচিত জানালা ছিল। কক্ষের চারদিকে রেলিং ছিল।

Images for কুতুবদিয়া বাতিঘর

 

ঘর তো ঘরই তা আবার বাতিঘর হয় কেমন করে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চলুন ঘুরে আসুন কুতুবদিয়া!

 

প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রাম ছিল একটি সমুদ্রবন্দর। খ্রিষ্টীয় নয় শতক থেকে আরব বণিকগন চট্টগ্রামের সঙ্গে বানিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন করে। বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর (চৌদ্দ শতক) থেকে চট্টগ্রাম বন্দর একটি ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়। সেকালে সামুদ্রিক জাহাজে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ছিল না, অভিজ্ঞ নাবিকরা প্রাচীন প্রচলিত পদ্ধতিতে সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিতেন। ব্রিটিশ শাসনামলে বন্দরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটলেও সমুদ্রে জাহাজ পরিচালনায় কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার ব্যবস্থা ছিল না।

 

১৮২২ সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস উপকূলভাগ বিধ্বস্ত করে দেয়। প্লাবনের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় সমুদ্রবক্ষে পলি জমে সৃষ্টি হয় অনেক চর। বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন নতুন চর জেগে ওঠার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে দেশী-বিদেশি জাহাজ চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের স্বার্থে ব্রিটিশ সরকার বাতিঘর স্থাপনের জন্য জরিপ কাজ পরিচালনা করে এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে তিনদিকে বঙ্গোপসাগর পরিবেষ্টিত কুতুবদিয়ায় একটি সুউচ্চ বাতিঘর স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

বঙ্গোপসাগরে চলাচলরত জাহাজকে সংকেত দেখানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও সামুদ্রিক এলাকায় বিভিন্ন সময় সেন্ট মার্টিনস, কক্সবাজার, নরম্যান্স পয়েন্ট, পতেঙ্গা ও কুতুবদিয়ায় বাতিঘর স্থাপন করা হয়। এসব বাতিঘরের বিচ্ছুরিত আলো ২৫-৩৫ কি.মি গভীর সমুদ্র থেকে দেখা যায়। সবচেয়ে প্রাচীন বাতিঘর স্থাপিত হয় কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ায়।কুতুবদিয়া বাতিঘরের নির্মাণকাল ১৮৪৬ সাল এবং ঘূর্ণায়মান বাতি স্থাপিত হয় ১৮৯২ সালে।

 

পাথরের ভিতের উপর নির্মিত কুতুবদিয়া বাতিঘরটির উচ্চতা ছিল প্রায় ৪০ মিটার। এর ছয়টি কামরায় পাটাতন ও সিঁড়ি ছিল কাঠের। সর্বোচ্চ কামরায় আট ফিতার ল্যাম্প বসানো হয়েছিল। ল্যাম্পের জ্বালানি ছিল নারিকেল তেল। বাতিঘরের নিচতলা ছিল মাটির নিচে এবং এর দেয়াল ছিল খুবই পুরু। এ বাতিঘর নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল ৪,৪২৮ টাকা।

 

আট তলা এ বাতিঘরের প্রতি তলার উচ্চতা ছিল প্রায় ৫ মিটার। প্রতি কক্ষে ছিল কাচের জানালা। সর্বোচ্চ কক্ষের জ্বালানো হত বাতি। একটি কাঠের ফ্রেমে রাখা বাতিটি প্রতিদিন সূর্যাস্তের আগে জ্বালানো হত। ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন হেয়ারের তত্ত্বাবধানে ও ইঞ্জিনিয়ার জে এইচ টুগুডের নির্দেশনায় কুতুবদিয়ার বাতিঘরটি নির্মিত হয়।

 

দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নের আলী ফকির ভেইলে পশ্চিম সমুদ্র উপকূলে নির্মিত এ বাতিঘরটি ১৮৯৭ সালের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সমগ্র লাইট হাউজ নড়বড়ে হয়ে যায়। লাইট হাউজের রক্ষকের বাসভবন বিধ্বস্ত হয়। ভবনের কাঠের মেঝে বাতাসের তীব্রতায় প্রায় ৭০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে।

 

ভবনের টিনের তৈরি ছাদ আশপাশের মাঠে গিয়ে আছড়ে পড়ে। স্তূপাকৃত বড় বড় পাথর পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। ১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে স্থায়ী ভাঙ্গনে বিলীন হবার পূর্ব পর্যন্ত এ বাতিঘর বিরামহীন আলো দেখিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের প্রায় ৩৫ কি.মি দূর থেকে দিকনির্দেশনা দিত।

 

পুরনো সেই বাতিঘর সমুদ্রে বিলীন হয়েছে বহু আগে। তবে এখনও ভাটার সময় সেই বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ কখনও কখনও জেগে উঠতে দেখা যায়।বাতিঘর এলাকায় পরে যে বাতিঘর তৈরী করা হয়েছিল সেটিই এখন নাবিকদের পথ দেখায়।বড়ঘোপ বাজার থেকে সমুদ্র সৈকত ধরে উত্তর দিকে কিছু দুরে গেলেই বর্তমান বাতিঘরের অবস্থান।

 

কক্সবাজারের এই বাতিঘর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি স্থান। তাই প্রতিদিনই এখানে পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে।

 

কীভাবে যাবেন: কুতুবদিয়া যেতে হবে কক্সবাজারের বাসে। ঢাকা থেকে সরসরি কক্সবাজার যায় সোহাগ পরিবহন, টি আর ট্রাভেলস, গ্রীন লাইন পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সেন্টমার্টিন পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাস। ভাড়া ১৭০০ থেকে ২৫০০ টাকা।

 

এছাড়া এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী, ইউনিক, ঈগল ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাসে ভাড়া সাড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।

 

এসব বাসে চড়ে নামতে হবে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের পথে যাত্রা বিরতি স্থল ইনানী রিসোর্টের এক কিলোমিটার সামনে বড়ইতলি মোড়ে। সেখান থেকে সিএনজি চালিত বেবিটেক্সিতে যেতে হবে মাগনামা ঘাট। জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ টাকা। রিজার্ভ নিলে ২০০ টাকা। মাগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল পার হতে হবে ইঞ্জিন নৌকা অথবা স্পিড বোটে। ইঞ্জিন নৌকায় সময় লাগে ২০ থেকে ২৫ মিনিট, ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর স্পিডবোটে লাগে ১০ মিনিট, ভাড়া ৬০ টাকা। চ্যানেল পার হলে কুতুবদিয়া।

 

বড়ঘোপ বাজার রিকশায় যেতে লাগবে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ও কক্সবাজার বাসস্টান্ড থেকে সরাসরি এস আলমের বাস যায় মাগনামা ঘাটে। ভাড়া চট্টগ্রাম থেকে ১৬০ টাকা, কক্সবাজার থেকে ৯০ টাকা।

 

 কোথায় থাকবেন: কুতুবদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য মানসম্মত একমাত্র আবাসন ব্যবস্থা হল হোটেল সমুদ্র বিলাস। সমুদ্র লাগোয়া এই হোটেলে বসে উপভোগ করা যায় সমুদ্রের সৌন্দর্য। হোটেলের দুই জনের নন এসি কক্ষ ভাড়া ৮০০ টাকা তিন জনের ১০০০ টাকা এবং চার জনের কক্ষ ভাড়া ১২০০ টাকা।

 

যোগাযোগ: হোটেল সমুদ্র বিলাস, বড়ঘোপ বাজার, কুতুবদিয়া। মোবাইল ০১৮১৯৬৪৭৩৫৫, ০১৭২২০৮৬৮৪৭।

 

প্রয়োজনীয় তথ্য: কুতুবদিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে এখানকার বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। সৈকতে জোয়ার ভাটা চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিজ দায়িত্বে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে সমুদ্র স্নানে নামতে। ভাটার সময় সমুদ্রে নামা বিপজ্জনক।

 

 

র পরিবেষ্টিত কুতুবদিয়ায় একটি সুউচ্চ বাতিঘর স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
 
বঙ্গোপসাগরে চলাচলরত জাহাজকে সংকেত দেখানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও সামুদ্রিক এলাকায় বিভিন্ন সময় সেন্ট মার্টিনস, কক্সবাজার, নরম্যান্স পয়েন্ট, পতেঙ্গা ও কুতুবদিয়ায় বাতিঘর স্থাপন করা হয়। এসব বাতিঘরের বিচ্ছুরিত আলো ২৫-৩৫ কি.মি গভীর সমুদ্র থেকে দেখা যায়। সবচেয়ে প্রাচীন বাতিঘর স্থাপিত হয় কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ায়।কুতুবদিয়া বাতিঘরের নির্মাণকাল ১৮৪৬ সাল এবং ঘূর্ণায়মান বাতি স্থাপিত হয় ১৮৯২ সালে।
 
পাথরের ভিতের উপর নির্মিত কুতুবদিয়া বাতিঘরটির উচ্চতা ছিল প্রায় ৪০ মিটার। এর ছয়টি কামরায় পাটাতন ও সিঁড়ি ছিল কাঠের। সর্বোচ্চ কামরায় আট ফিতার ল্যাম্প বসানো হয়েছিল। ল্যাম্পের জ্বালানি ছিল নারিকেল তেল। বাতিঘরের নিচতলা ছিল মাটির নিচে এবং এর দেয়াল ছিল খুবই পুরু। এ বাতিঘর নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল ৪,৪২৮ টাকা।
 
আট তলা এ বাতিঘরের প্রতি তলার উচ্চতা ছিল প্রায় ৫ মিটার। প্রতি কক্ষে ছিল কাচের জানালা। সর্বোচ্চ কক্ষের জ্বালানো হত বাতি। একটি কাঠের ফ্রেমে রাখা বাতিটি প্রতিদিন সূর্যাস্তের আগে জ্বালানো হত। ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন হেয়ারের তত্ত্বাবধানে ও ইঞ্জিনিয়ার জে এইচ টুগুডের নির্দেশনায় কুতুবদিয়ার বাতিঘরটি নির্মিত হয়।
 
দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নের আলী ফকির ভেইলে পশ্চিম সমুদ্র উপকূলে নির্মিত এ বাতিঘরটি ১৮৯৭ সালের প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সমগ্র লাইট হাউজ নড়বড়ে হয়ে যায়। লাইট হাউজের রক্ষকের বাসভবন বিধ্বস্ত হয়। ভবনের কাঠের মেঝে বাতাসের তীব্রতায় প্রায় ৭০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে।
 
ভবনের টিনের তৈরি ছাদ আশপাশের মাঠে গিয়ে আছড়ে পড়ে। স্তূপাকৃত বড় বড় পাথর পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। ১৯৬০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে স্থায়ী ভাঙ্গনে বিলীন হবার পূর্ব পর্যন্ত এ বাতিঘর বিরামহীন আলো দেখিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিকদের প্রায় ৩৫ কি.মি দূর থেকে দিকনির্দেশনা দিত।
 
পুরনো সেই বাতিঘর সমুদ্রে বিলীন হয়েছে বহু আগে। তবে এখনও ভাটার সময় সেই বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষ কখনও কখনও জেগে উঠতে দেখা যায়।বাতিঘর এলাকায় পরে যে বাতিঘর তৈরী করা হয়েছিল সেটিই এখন নাবিকদের পথ দেখায়।বড়ঘোপ বাজার থেকে সমুদ্র সৈকত ধরে উত্তর দিকে কিছু দুরে গেলেই বর্তমান বাতিঘরের অবস্থান।
 
কক্সবাজারের এই বাতিঘর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি স্থান। তাই প্রতিদিনই এখানে পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে।
 
কীভাবে যাবেন: কুতুবদিয়া যেতে হবে কক্সবাজারের বাসে। ঢাকা থেকে সরসরি কক্সবাজার যায় সোহাগ পরিবহন, টি আর ট্রাভেলস, গ্রীন লাইন পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সেন্টমার্টিন পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাস। ভাড়া ১৭০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
 
এছাড়া এস আলম, সৌদিয়া, শ্যামলী, ইউনিক, ঈগল ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাসে ভাড়া সাড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
 
এসব বাসে চড়ে নামতে হবে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের পথে যাত্রা বিরতি স্থল ইনানী রিসোর্টের এক কিলোমিটার সামনে বড়ইতলি মোড়ে। সেখান থেকে সিএনজি চালিত বেবিটেক্সিতে যেতে হবে মাগনামা ঘাট। জনপ্রতি ভাড়া ৩৫ টাকা। রিজার্ভ নিলে ২০০ টাকা। মাগনামা ঘাট থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল পার হতে হবে ইঞ্জিন নৌকা অথবা স্পিড বোটে। ইঞ্জিন নৌকায় সময় লাগে ২০ থেকে ২৫ মিনিট, ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর স্পিডবোটে লাগে ১০ মিনিট, ভাড়া ৬০ টাকা। চ্যানেল পার হলে কুতুবদিয়া।
 
বড়ঘোপ বাজার রিকশায় যেতে লাগবে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এছাড়া চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ও কক্সবাজার বাসস্টান্ড থেকে সরাসরি এস আলমের বাস যায় মাগনামা ঘাটে। ভাড়া চট্টগ্রাম থেকে ১৬০ টাকা, কক্সবাজার থেকে ৯০ টাকা।
 
 কোথায় থাকবেন: কুতুবদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য মানসম্মত একমাত্র আবাসন ব্যবস্থা হল হোটেল সমুদ্র বিলাস। সমুদ্র লাগোয়া এই হোটেলে বসে উপভোগ করা যায় সমুদ্রের সৌন্দর্য। হোটেলের দুই জনের নন এসি কক্ষ ভাড়া ৮০০ টাকা তিন জনের ১০০০ টাকা এবং চার জনের কক্ষ ভাড়া ১২০০ টাকা।
 
যোগাযোগ: হোটেল সমুদ্র বিলাস, বড়ঘোপ বাজার, কুতুবদিয়া। মোবাইল ০১৮১৯৬৪৭৩৫৫, ০১৭২২০৮৬৮৪৭।
 
প্রয়োজনীয় তথ্য: কুতুবদিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে এখানকার বৈদ্যুতিক চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। সৈকতে জোয়ার ভাটা চিহ্নিত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিজ দায়িত্বে জোয়ার-ভাটার সময় জেনে সমুদ্র স্নানে নামতে। ভাটার সময় সমুদ্রে নামা বিপজ্জনক।